ভ‍্যাকসিন দেওয়াতেও রাজনীতি : অভিযোগ তুলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর , বন্ধ ভ‍্যাকসিনেশন

13th August 2021 6:54 pm বাঁকুড়া
ভ‍্যাকসিন দেওয়াতেও রাজনীতি : অভিযোগ তুলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর , বন্ধ ভ‍্যাকসিনেশন


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ভ্যাকসিনে রাজনৈতিক রং লাগানোর অভিযোগ, স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ ভ্যাকসিনেশনের কাজ। মেজিয়ার পায়রাশোল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা।

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মিলছে না ভ্যাকসিন। বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের পায়রাশোল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আজ সকাল থেকেই এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ালো। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি স্থানীয় কুসতোর গ্রাম পঞ্চায়েত ভ্যাকসিনের যে লিস্ট এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাচ্ছে তাতে নাম থাকছে না অনেকের। বেছে বেছে কিছু সংখ্যক মানুষের এই লিস্টে নাম তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আজ সকাল থেকে ভ্যাকসিনেল জন্য স্থানীয়দের লম্বা লাইন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে থাকলেও সাধারণ মানুষকে বাদ দিয়ে সেই লিস্ট অনুযায়ী ভ্যাকসিন দিতে গেলে বাধে-বিপত্তি। লাইনে দাড়িয়ে থাকা মানুষজনেদেল  দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে শুরু করা যায়নি ভ্যাকসিনেশনের কাজ। অভিযোগ স্থানীয়দের বাদ দিয়ে বাইরে থেকে মানুষকে এনে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অথচ স্থানীয় মানুষজনেরা ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দিনের-পর-দিন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও বিফল মনোরথে ফিরতে হচ্ছে অনেকেই। এই বিক্ষোভের জেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেজিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এই ঘটনার জেরে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি রাজনৈতিক চাপানউতোর।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।